আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্র রাতে আরও একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। আইপিএলের অন্যান্য ম্যাচের থেকে ঢেরগুণ আকর্ষক। তবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচকে আইপিএলের এল ক্লাসিকো বলা যাবে না। কারণ হেড টু হেডে অনেকটাই এগিয়ে ধোনিরা।‌ তবে বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাই ম্যাচ সবসময় ডার্বি। দুই শহরের মধ্যে ভৌগোলিক দূরত্বও বেশি নয়। সড়কপথে বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাইয়ের দূরত্ব মাত্র ছয় ঘণ্টা। তাই আরসিবির ফ্যানরাও হাজির থাকতে পারবে। গতবছর বেঙ্গালুরুর কাছে হেরেই প্লে অফের স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায় ধোনিদের। তাই বদলা নিতে চাইবে চেন্নাই। ২০০৮ সালের পর থেকে চিপকে সিএসকেকে হারাতে পারেনি বেঙ্গালুরু। সবগুলোই একতরফা ম্যাচ। তবে এবার পাশা বদলাতে মরিয়া বেঙ্গালুরু। 

কোনও ম্যাচের আগে টানা দু'দিন পুরোদমে নেটে ব্যাট করতে দেখা যায় না বিরাট কোহলিকে। কিন্তু বুধবার এবং বৃহস্পতিবার সেটাই করলেন তারকা ক্রিকেটার। চেন্নাইয়ের স্পিন ত্রয়ীকে সামলানোর প্রস্তুতি সারেন। স্পিন সহায়ক পিচে মূলত কোহলি এবং পতিদারের ওপরই বাড়তি দায়িত্ব থাকবে। দু'জনই স্পিন ভাল খেলেন। আরসিবির মেন্টর দীনেশ কার্তিক জানান, এবার বাজি পাল্টানোর জন্য মানসিকভাবে তৈরি বিরাট। অন্যদিকে তৈরি বেঙ্গালুরুর নতুন অধিনায়কও। চেন্নাইও জানে এই দুজনের উইকেট তুলে নেওয়ার গুরুত্ব। চেন্নাইয়ের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং বলেন, 'বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজির মতো ওরাও দলের শক্তি বাড়িয়েছে। তবে আমরা এই দু'জনকে শান্ত রাখতে পারলে, আমাদেরই উপকার হবে।' 

চেন্নাইয়ের পেসার মাথিশা পথিরানার চোট রয়েছে। প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেনি। এদিনও খেলার সম্ভাবনা কম। তাঁর ফিটনেস নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ফ্লেমিং। বলেন, 'ও ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে।' তবে শোনা যাচ্ছে, বেঙ্গালুরু ম্যাচে খেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। যার ফলে মিডল ওভার এবং ডেথ বোলিংয়ে ভুগতে হতে পারে চেন্নাইকে। তাঁর জায়গায় খেলবেন নাথান এলিস। তবে তিনি কোহলি অ্যান্ড কোম্পানিকে খুব একটা বিপাকে ফেলতে পারবেন না।